Skip to main content

আমার পথ

লেখক পরিচিতি
*নাম: কাজী নজরুল ইসলাম
*জন্ম :১৮৯৯ সালের ২৫ মে,১৩০৬ বঙ্গাব্দ ১১ জ্যৈষ্ঠ
*জন্মস্থল :পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে
*বাবা: কাজী ফকির আহমেদ
*মা:জাহেদা খাতুন
*পরিচিতি: বিদ্রোহী কবি
*উপাধি: জাতীয় কবি
*১২ বছর বয়সে লেটো গানের দলে যোগদান
*১৯১৭ সালে সেনাবাহিনীরর বাঙ্গালি পল্টনে যোগদান
*১৯৪২ সালে তেতাল্লিশ বছর বয়সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে নির্বাক হয়ে যান
*প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্হ: অগ্নিবীণা(১৯২২)
*প্রথম প্রকাশিত কবিতা: মুক্তি (বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য)
*প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস:বাঁধনহারা(১৯২৭)
*প্রথম গল্প: ব্যথার দান(১৯২২)
*প্রথম প্রকাশিত গল্প:বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী (১৯১৯)
*প্রথম প্রকাশিত নাটক: ঝিলিমিলি(১৩৩৪)
*প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ :যুগবাণী(১৯২২)
*উপন্যাস: বাঁধনহারা,মৃত্যু ক্ষুধা, কুহেলিকা
*গল্পগ্রন্থ :রিক্তের বেদন, ব্যথার দান,শিউলিমালা
*প্রবন্ধ : যুগ বাণী,দুর্দিনেরর যাত্রী,রুদ্র মঙ্গল, রাজবন্দির জবানবন্দি
*কাব্য : অগ্নিবীণা,জিঞ্জীর, দোলনচাঁপা, ভাঙার গান, বুলবুল, বিষের বাশি
*গীতিনাট্য :আলেয়া,মুধুমালা,ঝিলিমিলি
*জীবনীকাব্য: মরুভাস্কর,চিত্তনামা
*পত্রিকা: ধূমকেতু, লাঙ্গল, দৈনিক নবযুগ
*নিষিদ্ধ গ্রন্থ :বিষের বাঁশি,ভাঙার গান, প্রলয় শিখা, চন্দ্রবিন্দু, যুগবাণী
*মৃত্যু :১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট,১৩৮৩ বঙ্গাব্দে ১২ ভাদ্র (ঢাকা)
*সমাধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে
*১৯৭৬ সালে কবিকে দেশে ফিরিয়ে এনে জাতীয় কবির সম্মান দেওয়া হয়।
*বিবাহ:১৯২৪ সালের ২৪ এপ্রিল
*স্ত্রীর নাম: আশালতা সেনগুপ্ত ডাকনাম: প্রমীলা
*বাল্যকালের নাম: দুখু মিয়া
*একুশে পদক-১৯৭৬ সালে
*১৯৭২ সালে ২৪ মে প্রথমবারের মতো কবিকে দেশে আনা হয়।
রচনার উৎস
* প্রবন্ধটি কাজী নজরুলের রুদ্র মঙ্গল থেকে সংকলিত হয়েছে
*নজরুল প্রবন্ধটিতে 'আমি'র প্রত্যাশা করেছেন
*প্রত্যাশিত 'আমি' র পথ হবে সত্যের পথ
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি
*প্রাবন্ধিকের কর্ণধার তিনি নিজেই
*প্রাবন্ধিককে পথ দেখাবে তার সত্য
*লেখক যাত্রা শুরুর আগে সত্যকে নমস্কার জানিয়েছে
*রাজভয় লোকভয় তাকে সত্যের পথ থেকে বিপথে করতে পারবে না
*যার মনে মিথ্যা সেই মিথ্যাকে ভয় পায়
*যে নিজকে চিনে সে আপন সত্য ছাড়া কাউকে কুর্নিশ করে না
*আত্মকে চেনার সহজ স্বীকারোক্তি - নিজকে চেনা,সত্যকে গুরু মানা
* আপন সত্যের অহংকারের পৌরুষ মিথ্যা বিনয়ের চেয়ে অনেক ভালো
*স্পষ্ট কথা বলায় অবিনয় আছে
*যে নিজেকে চিনেকেউ তাকে পদানত করতে পারে না
*সত্যের দম্ভ মানুষের মাথা উচু করে
প্রবন্ধকার নিজেকে মিথ্যা দাসত্ব থেকে মুক্ত *দাবি করেছেন
*পরাবলম্বন মানুষকে নিষ্কৃয় করে ফেলে
*মিথ্যা,ভন্ডামি,মেকি দূর করার জন্য আগুনের সম্মার্জনী প্রয়োজন
*প্রবন্ধকার কারো বানীকে বেদবাক্য বলে মেনে নেয় না
*না বুঝে বুঝার ভন্ডামি করে পাঁচজনের প্রশংসা আর শ্রদ্ধা পাবার লোভ তার নেই
*সত্যের উপলব্ধি লেখক সত্তার প্রাণপ্রাচুর্যের উৎসবিন্দু
*প্রাণ খুলে ভুলকে স্বীকার করার মাধ্যমেই সত্য কে পাওয়া যায়
*মানবধর্ম সবচেয়ে বড় ধর্ম
*মানবজাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলেই ধর্মের বিরোধ দূর করা সম্ভব
*মানবজাতির ঐক্যের মূল শক্তি হলো সম্প্রীতি
*মানুষে মানুষে যেখানে মিল সেখানে ধর্মের বৈষম্য,দুশমনি, হিংসা নেই
*গান্ধীজি আছেন কথার মানে পরাবলম্বন প্রকাশ পায়
*স্পষ্ট কথায় কষ্ট পাওয়াটা দুর্বলতা
*বাইরের গোলামি থেকে মুক্তি পায় না-যাদের অন্তরে গোলামি ভাব
*একমাত্র মিথ্যা সত্যের জলন্ত শিখাকে নিভাতে পারে
*মিথ্যা বিনয় মানুষকে ছোট করে ফেলে
* প্রবন্ধকার প্রতিটি মানুষকে পূর্ণ এক আমি তে ব্যপ্ত করতে চেয়েছেন
*আত্নকে চিনলে মানুষের মনে ডোন্ট কেয়ার ভাব আসে

Comments

Popular posts from this blog

অপরিচিতা

অপরিচিতা’                                                           রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ০১। ধনীর কন্যা কার পছন্দ নয়? উত্তর: ধনীর কন্যা অনুপমের মামার পছন্দ নয়। ০২। অনুপমের বন্ধুর নাম কী? উত্তর: অনুপমের বন্ধুর নাম হরিশ। ০৩। হরিশ কোথায় কাজ করে? উত্তর: হরিশ কানপুরে কাজ করে। ০৪। অনুপমের বর্তমান বয়স কত? উত্তর: অনুপমের বর্তমান বয়স সাতাশ বছর। ০৫। কার জীবনের ইতিহাসটুকু আকারে ছোট? উত্তর: অনুপমের জীবনের ইতিহাসটুকু আকারে ছোট। ০৬। স্বয়ংবরা বলতে কী বোঝায়? উত্তর: স্বয়ংবরা বলতে বোঝায়, যে মেয়ে নিজেই স্বামী নির্বাচন করে। ০৭।‘সওগাদ’ শব্দের অর্থ কী? উত্তর: ‘সওগাদ’ শব্দের অর্থ উপঢৌকন। ০৮।‘প্রদোষ’ শব্দের অর্থ কী? উত্তর: ‘প্রদোষ’ শব্দের অর্থ সন্ধ্যা। ০৯।‘অপরিচিতা’ গল্পটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়? উত্তর: ...

বাংলা_ভাষার_অপপ্রয়োগ_ও_শুদ্ধপ্রয়োগ

*বৃক্ষটি সমূলসহ উৎপাটিত হয়েছে। ★বৃক্ষটি সমূল উৎপাটিত হয়েছে। . *আপনি স্বপরিবার অামন্ত্রিত। ★আপনি সপরিবার অামন্ত্রিত। . *অাবশ্যীয় ব্যায়ে কার্পন্যতা অনুচিত। ★অাবশ্যীয় ব্যায়ে কৃপণতা অনুচিত। . *উৎপন্ন বৃদ্ধির জন্য কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন। ★উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন। . *একথা প্রমান হয়েছে। ★একথা প্রমাণিত হয়েছে। . *একের লাঠি দশের বোঝা। ★দশের লাঠি একের বোঝা। . *তারা একত্রে গমন করল। ★তারা একত্র গমন করল। . *আমার অার বাঁচিবারর স্বাধ নাই। ★আমার অার বাঁচিবারর সাধ নাই। . *গতকালের সভায় সকল সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। ★গতকালের সভায় সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন। . *বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধশালী দেশ। ★বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ দেশ। . *এটা লজ্জাস্কর ব্যাপার। ★এটা লজ্জাকর ব্যাপার। . *কালিদাস বিখ্যাত কবি। ★কলীদাস বিখ্যাত কবি। . *কুপুরুষের মত কথা বলছ কেন? ★কাপুরুষের মত কথা বলছ কেন? . *গীতাঞ্জলী একখানা কাব্যগ্রন্থ। ★গীতাঞ্জলি একখানা কাব্যগ্রন্থ। . *তিনি স্বস্ত্রীক কুমিল্লা বাস করেন। ★তিনি সস্ত্রীক কুমিল্লায় বাস করেন। . *তোমার তথ্য গ্রাহ্যযোগ্য নয়। ★তোমার তথ্য গ্রহনযোগ্য ন...

প্রকৃতি ও প্রত্যয়

প্রকৃতি ও প্রত্যয় ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তবে প্রকৃতি ও প্রত্যয় আলোচনার পূর্বে আমাদের কতগুলো বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। সমস্ত শব্দ বা পদকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:- যথা, ● মূল শব্দ বা প্রাতিপাদিক। ● সাধিত শব্দ। প্রাতিপাদিক :- # বিভক্তিহীন নাম পদকে প্রাতিপাদিক বলে। যেমনঃ ফুল, কলম, বই। সাধিত শব্দ:- # মৌলিক শব্দ ব্যতিত অন্য সকল শব্দকেই সাধিত শব্দ বলে। যেমনঃ হাতা, ফুলেল। সাধিত শব্দ আবার দুই প্রকার :- যথা, ● নাম পদ/শব্দ। ● ক্রিয়া পদ/শব্দ। প্রত্যেক সাধিত শব্দের (নাম শব্দ ও ক্রিয়া) দুটি অংশ থাকে।যথা, ● প্রকৃতি। ● প্রত্যয়। নিম্নে প্রকৃতি ও প্রত্যয় নিয়ে আলোচনা করা হলো। প্রকৃতি;:- কোন শব্দের যে অংককে বা যে শব্দকে আর কোন ক্ষুদ্রতম অংশে ভাগ করা যায় না তাকে প্রকৃতি বলা হয়। প্রত্যয় ::- প্রত্যয় নতুন শব্দ তৈরি করার একটি পদ্ধতি।প্রত্যয় কখনো ধাতু আবার কখনো নাম প্রকৃতি বা শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে। অর্থাৎ, আমরা বলতে