Skip to main content

চাষার দুক্ষু ১ম অংশ

লেখক পরিচিতি:
নাম:বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
জন্ম: ৯ ডিসেম্বর, ১৮৮০
জন্মস্থল : রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার অন্তর্গত পায়রাবন্দ গ্রামে
প্রকৃত নাম: রোকেয়া খাতুন
পিতা: জহিরউদ্দিন আবু আলী হায়দার সাবের
মাতা: রাহাতুন্নেসা
পরিচিতি লাভ: নারী জাগরণের অগ্রদূত
লেখা প্রকাশিত হতো: মিসেস আর এস. হোসেন নামে
প্রথম রচিত গ্রন্থ : মতিচুর
উপন্যাস: পদ্মরাগ, সুলতানার স্বপ্ন
উল্লেখযোগ্য সাহিত্য কর্ম: অবরোধবাসিনী, ডেলিসিয়া হত্যা
মৃত্যু :৯ ডিসেম্বর, ১৯৩২

*রোকেয়ার সব রচনায় সমাজের বেদনা বোধটি উৎসারিত
*বিবিসির জরিপকৃত(২০০৪) সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় রোকেয়ার স্হান-৬ষ্ঠ
*১৬ মার্চ, ১৯১১ সালে রোকেয়া সাখাওয়াত মেমোরিয়াল উর্দু প্রাইমারি স্কুল স্হাপন করেন।
*রোকেয়া নারীমুক্তি আন্দোলনের পথিকৃত
*১৮৯৮ সালে বিপত্নীক সাখাওয়াত হোসেনের সাথে বিয়ে হয়
*১৯১৬ সালে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য 'আঞ্জুমানে খাওয়াতীনে ইসলাম' প্রতিষ্ঠা করেন।
*রোকেয়ার শিক্ষা ও সামাজিক কর্মকান্ড থেকে শুরু করে লেখালেখি উৎসর্গ করেছেন নারী সমাজের মুক্তি আর সমৃদ্ধিরর জন্য

রচনার উৎস:
*চাষার দুক্ষু শীর্ষক রচনাটি বাংলা একাডেমী প্রকাশিত 'রোকেয়া রচনাবলি' থেকে নেওয়া
*মূল বিষয়- ভারতবর্ষের কৃষকদের শোচনীয় অবস্হা
*প্রবন্ধটি তৎকালীন দারিদ্র্যপীড়িত কৃষকদের বঞ্চনার মর্মন্তুদ দলিল হয়ে আছে
*প্রবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয়- বঙ্গীয় মুসলমান পত্রিকায়
সংখ্যাবাচক তথ্য:
*অভ্রভেদী পাকা বাড়ি-৫ তলা
*ইউরোপের মহাযুদ্ধ-৭ বছরের
*সামান্য অসুখে নাড়ী টিপে-৮/১০ জন ডাক্তার
*টাকায় ৮ সের সরিষার তেল, ৪ সের ঘি পাওয়ূ যেত-৫০ বছর পূর্বে
*বিহারে কৃষক পত্নী কন্যা বিক্রি করতো-৩০/৩৫ বছর আগে
*পুরুষেরা বহুকষ্টে স্ত্রীদের জন্য যোগাড় করতো -৮/৯ হাত কাপড়
*ট্রামের ভাড়া-৫ পয়সা
*কম্বল প্রয়োজন হয় না-৪/৫ খানি এন্ডি কাপড় থাকলে
*জমিরনের মাথায় তেল লাগতো -আধপোয়া
*ভারতবাসী অসভ্য বর্বর ছিল-১৫০ বছর আগে
*জুট মিলের কর্মচারীর বেতন-(৫০০-৭০০)
*জমিরনের সময় এক সের তেল ছিল ২ গন্ডা পয়সা
*এন্ডি কাপড় টিকে-৪০ বছর
*ঐসময়ে রংপুরে টাকায় চাল পাওয়া যেত-২৫ সের

গুরুত্বপূর্ণ উক্তি:
*পাছায় জোটে না ত্যানা-কৃষকদের চরম দারিদ্রতা প্রকাশ পেয়েছে
*আরে এখন আমরা সভ্য হয়েছি- ব্যঙ্গ করা হয়েছে
*তাহাদিগকে বিষে জর্জরিত করিয়া ফেলিয়াছে- বিলাসিতা
*মরাই ভরা ধান ছিল,গোয়াল ভরা গরু ছিল- কৃষকদের সচ্ছল অবস্হা বুঝানো হয়েছে
*কৃষকদের দুরবস্থার জন্য দায়ী- কৃষক পত্নীর বিলাসিতা
*ধান্য যার বসুন্ধরা তার উক্তি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
* গ্রামের লোকেরা সভ্য হইয়াছে তাই- দেশি শিল্প বিলুপ্ত হইয়াছে।
*প্রবন্ধের মূল আলোচ্য বিষয় চাষার দুক্ষু
*এন্ডি আসাম শব্দ
*সমাজের মেরুদণ্ড চাষারা
*দেড়শ বছর পূর্বে ভারতবাসী অসভ্য বর্বর ছিল
*কৃষক কন্যার নাম জমিরন
*জমিরনের মাথায় তেল দেওয়ার জন্য তার মা তাকে জমিদার বাড়িতে নিয়ে যেত
*বিহারে খেসারির বিনিময়ে কৃষক পত্নী কন্যা বিক্রি করতো
*কণিকা উড়িষ্যার অন্তর্গত একটি রাজ্য
*কণিকা অঞ্চলের মানুষ ভাতের সাথে লবন ছাড়া অন্য কিছু জোগাড় করতে পারে না।
*কণিকা অঞ্চলে শুটকি উপাদেয় ব্যঞ্জন পরিগনিত হয়
*সাত ভায়া গ্রামের মানুষ পখাল ভাতের সহিত লবম জুটাতে পারত না
*পখাল মানে পান্তা
*রংপুরে মানুষ দারিদ্রতার জন্য চাউল কিনতে না পেরে লাউ,কুমড়া,শাক সিদ্ধ করে খেত।
*এন্ডি কাপড় রংপুর ও আসামে উৎপন্ন হয়
*এন্ডি মানে রেশমী সুতা
*অতীতে গ্রামের রমনীরা বেড়াতে গেলে তাদের হাতে টেকো থাকতো
*ভারতে সভ্যতার অগ্রসরে কৃষকদের অবস্হা শোচনীয়
*কৃষকদের দুর্দশা ও দারিদ্র্যতার জন্য দায়ী বিলাসিতা ও অনুকরনপ্রিয়তা
*কৃষকদের দারিদ্র্যের অন্যতম কারন গ্রামীণ কুটির শিল্পের বিপর্যয়
*কৃষকদের মুমূর্ষু অবস্হা থেকে মুক্তির জন্য রোকেয়া গ্রামে গ্রামে পাঠশালা প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন
*সভ্যতার নিদর্শন যে অস্বীকার করেছেন রোকেয়া তাকে নিমকহারাম বলেছেন
*এন্ডি কাপড় পরবর্তীতে আসাম শিল্প নামে পরিচিতি লাভ করে।
*বঙ্গের তৎকালীন গভর্নর লর্ড কারমাইকেল
*লর্ড কারমাইকেলের পাওয়া দেশি রুমালের উৎপত্তি মুর্শিদাবাদ
*কৃষকেরা এখন শিরে বাকা তাজ দিয়ে টাক ঢেকে রাখে
*জুট উৎপাদনকারীদের পাছায় ত্যানা জোটে না
*শিক্ষা ও সম্পদে আমরা অন্যান্য দেশ ও জাতির সমকক্ষ
*পাঁচতলা পাকা বাড়ি-অভ্রভেদী
*অট্টালিকার চূড়ায় বড় বড় ঘড়ি
*জুট ও মিলের কর্মচারীরা নবাবি হালে জীবনযাপন করে থাকেন
*একটি চাউল পরীক্ষা করলেই হাড়িভরা ভাতের অবস্হা জানা যায়
*অসহ্য শীতে তারা বিচালি (পোয়াল খড়) শয্যায় শয়ন করতো
*শতাধিক বছর পূর্বে কৃষক রমনী স্বহস্তে চরকায় সুতা কেটে কাপড় প্রস্তুত করিত,কাপড় কাচার জন্য ক্ষার প্রস্তুত করতো
*এখন তাদের কাপড় ধোয়ার জন্য সোডা/ধোপার প্রয়োজন
*কৃষক তাদের সমৃদ্ধি হারিয়েছে বিলাসিতার কারনে
*বর্নহীন এন্ডি কাপড়ের পরিবর্তে জুট ফানেল ব্যবহৃত হয়
*রংপুর জেলার কৃষকেরা কৌপিন পরিধান করত
*এখন আমাদের রাখার জায়গা নেয়-সভ্যতা ও ঐশ্বর্য
*মুটে মজুর ট্রাম না হলে এক পা ও নড়তে পারে না
*প্রবন্ধটিতে উল্লেখ আছে-কলকাতা,বিহার,আসাম,উড়িষ্যা প্রদেশ
*চাষার অন্ন বস্ত্রের অভাব ছিল না যখন সে অসভ্য বর্বর ছিল
*ঐতিহ্য বাচাতে ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধার করতে হবে
*পল্লীগ্রামের দুর্বস্হার প্রতি দেশবন্ধু নেতৃবৃন্দের নজর পড়েছে

Comments

Popular posts from this blog

প্রবাদ বাক্য

★★সব ভার্সিটিতে কমপক্ষে একটা প্রশ্ন থাকবে★★ : ১, অভাবে সভাব নষ্ট- Necessity knows no law. ২, অতি চালাকের গলায় দড়ি- Too much cunning overreaches itself. ৩, অতি লোভা তাতি নষ্ট- To kill the goose that lays golden eggs./ All covet, all lost. ৪, অতি ভক্তি চোরের লক্ষন- Too much courtesy, full of craft. ৫, অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট- Too many cooks spoil the broth. ৬, অস ময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু- A friend in need is a friend indeed. ৭, অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী- A little learning is a dangerous thing. ৮, অপচয়ে অভাব ঘটে-Waste not, want not. ৯, অন্ধকারে ঢিল মারা-Beat about the bush. ১০, অন্ধের কিবা রাত্রি কিবা দিন-Day and night are alike to a blind man. ১১, অপ্রিয় সত্য কথা বলতে নেই- Do not speak an unpleasant truth. ১২, অরণ্যে রোদন/ বৃথা চেষ্টা- Crying in the wilderness. ১৩, অর্থই অন অনর্থের মূল-Money is the root cause of all unhappiness. ১৪, অহংকার পতনের মূল-Pride geoth before destruction. ১৫, অহিংসা পরম ধর্ম-Love is the best virtue. ১৬, অসারের গর্জন তর্জন সার/খালি কলসি বাজে বে...

ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম:: ৬ষ্ট অধ্যায়

ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ````````````````````````` '''''''''''''''''''''''' * ডাটাবেজ কি বা কাকে বলে? উত্তর: পরষ্পর সম্পর্কযুক্ত কতগুলো ডাটার সমষ্টিকে Database বলে। . → DBMS এর পূর্ণরূপ Database Management System. . → RDBMS এর পূর্ণরূপ - Relational Database Management System. . ** DBMS কি বা কাকে বলে? উত্তর: DBMS হলো একটি প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার। DBMS এর পূর্ণরূপ ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। DBMS দ্বারা ডাটাবেজ তৈরি করা, ডাটাবেজ পরিবর্তন করা, সংরক্ষণ করা, পরিচালনা করা, নিয়ন্ত্রণ করার কাজ করা সম্ভব। . ** ফিল্ড (Field) কি? উত্তর: রেকর্ডের ক্ষুদ্রতম অংশকে Field বলে। . * রেকর্ড (Record) কি? উত্তর: কতগুলো Field এর সমষ্টিকে রেকর্ড বলে। . ** ডাটাবেজের সুবিধা বা বৈশিষ্ট্য : → ডাটাবেজকে Assendung ও Decending করা যায়। → ডাটাবেজকে সর্টিং ও ইনডেক্সিং ভাবে সাজানো যায়। → সকল তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা যায়। → ডেটা নিরাপত্তা প্রদান করা সম্ভব। → কেন্দ্রীয়ভাবে ডাটা নিয়ন্ত্রণ কর...

আমাজন বন

আমাজন অরণ্যের গুরুত্ব অনেক। পৃথিবীর ২০% অক্সিজেন আসে আমাজন থেকে। আমাজন পৃথিবীতে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চার্যের একটি। এই বনের নদী বা আমাজন নদী বেশির ভাগ নদীর উৎস। এই নদী বিশ্বে প্রচুর পানির যোগান দিয়ে থাকে। এছাড়া ৪৫ লাখ প্রজাতির পোকামাকড় আছে। এছাড়া ৪২৮ প্রজাতির উভচর, ৩৭৮ প্রজাতির সরিসৃপ এবং ৪২৭ প্রজাতির স্তনপায়ী প্রাণী আছে। এছাড়া আমাজন নদীতে ৩০০০ প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী আছে। উপজাতি এই বনে ৩০০শ এর বেশী উপজাতি বাস করে। তারা বেশির ভাগ ব্রাজিলীয়। এছাড়া তারা পর্তুগীজ, স্প্যানিস ইত্যাদি ভাষায় কথা বলে।এছাড়াও এদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। এদের মধ্যে কিছু যাযাবর। এদের বহিঃ বিশ্বের সাথে তেমন যোগাযোগ নেই। ★আমাজন বনকে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়। ★আমাজন বন থেকে পৃথিবীতে প্রায় ৮০ ভাগ অক্সিজেন উৎপাদন হয়। ★আমাজন বনের আয়তন ৭০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার। ★আমাজন বনে ৩৯০ বিলিয়ন গাছ রয়েছে। ★আমাজনে ১৬০০ প্রজাতির গাছ রয়েছে।